মাথা ব্য়থা প্রায় সকলেরই জীবনের কোনও না কোনও সময় অনুভব হয়ে থাকে। কিন্তু বাড়িতে যদি কোনো একটি মানুষ প্রায়ই মাথা ব্যথা বলে, সেক্ষেত্রে সাবধান হয় উচিত। মাথা ব্যথার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষন দেখে আমরা মাথা ব্যথার জটিল কারণ সন্দেহ করতে পারি ? একজন বয়স্ক মানুষের মধ্যে আকস্মিক মাথা ব্যথার সূচনা, আগে থেকে বিদ্যমান মাথাব্যথার ধরণ পরিবর্তন, পরিশ্রমের মাধ্যমে শুরু হওয়া, মাথাব্যথার সাথে খিঁচুনি বা বেহুস হয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখতে পেলে অবিলম্বে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে। এবার বলি সেই মাথা ব্যথা গুলোর কথা, যে গুলোতে সাধারণত প্রাণনাশের ঝুঁকি নেই , কিন্তু রোগীকে বহুদিন ধরে কষ্ট দেয়, তাই চিকিৎসা বহুদিন ধরে চলতেই থাকে। (Migraine) নামটা এখন মোটের উপর সকলেই জানেন। এটা এক অদ্ভুত রোগ এবং প্রায়ই দেখা যায় যে রোগীর ফ্যামিলি তে আরো অনেকে এই সমস্য়াতে ভুগছেন। এই ব্যথা মাথার একটি নির্দিষ্ট অংশে হতে পারে। আবার সেই ব্যথা মাথা ছাড়িয়ে চোখেও চলে আসতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথার পিছনে কিছু ট্রিগার ফ্যাকটর থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আলো, শব্দ, গন্ধ সহ বিভিন্ন কারণে মাথায় এমন ব্যথা শুরু হয়। তাই রোগী কে এই ট্রিগার ফ্যাক্টর থেকে দূরে থাকতে হবে।
আরেক ধরণের মাথা ব্যথা হলো ক্লাস্টার হেডেক (Cluster Headache)। ক্লাস্টার হেডেকের ব্যথা হয় তীব্র। চোখের চারপাশটায় জ্বলে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে। এক্ষেত্রে ড্রাই আই, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল গড়ানোর মতো সমস্যা দেখা দেওয়াও খুবই স্বাভাবিক। মাথার যেই দিকে ব্যথা হয়, ঠিক সেই দিকের নাক দিয়ে জল গড়াতে পারে। এই ব্যথা ১ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত চলতে পারে।মাথার পিছনের দিকে হয় টেনশন হেডেক (Tension Headache)। এক্ষেত্রে ঘাড়ের সামান্য উপরে ব্যথা হয়। প্রথমে মাথার এই অংশটি ভারী হয়ে যায়। তারপর ব্যথা হতে শুরু করে। কাঁধ এবং গলা শক্ত হয়ে যাওয়াও এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। আবার অনেকসময় এই টেনশন হেডেক কপালে শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চোখেও এই সমস্যা ছড়িয়ে পরে।
তবে আজকাল সবথেকে বেশি মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে এগনাগাড়ে কম্পিটউটার, মোবাইল, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকা। এতে হতে পারে চোখে ব্যথা, জ্বালা, ড্রাই আই ইত্যাদির সমস্যা।
আপনি সর্বদা কলকাতার নিউটাউনে 'রাজারহাট পেইন ক্লিনিক' এর ডাঃ চিন্ময় রায়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
Commentaires